IELTS কি?
IELTS এর পূর্ণাঙ্গ রূপ হচ্ছে: International English Language Testing System. আই.ই.এল.টি.এস হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সনদ। যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয় তাদের ইংরেজি ভাষাভাষীর দেশে উচ্চশিক্ষা অথবা ভিসার আবেদন করতে হলে ভালো আই.ই.এল.টি.এস স্কোর এর প্রয়োজন হয়। IELTS পরীক্ষা দুই ধরণের হয়ে থাকে "একাডেমিক" এবং "জেনারেল"। উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের দিতে হয় একাডেমিক আই.ই.এল.টি.এস এবং ইমিগ্রেশন অথবা চাকরির সুবাদে যেতে হলে দিতে হয় জেনারেল আই.ই.এল.টি.এস পরীক্ষা। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহনযোগ্যতার ক্ষেত্রে টোফেলের চেয়ে অনেক এগিয়ে এই.ই.এল.টি.এস। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গড়ে ৩০ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে থাকেন। ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপি অস্ট্রেলিয়া এই তিনটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে আই.ই.এল.টি.এস পরীক্ষা পরিচালনা করে থাকে। সারাবিশ্বে একই প্রশ্নপত্র ও নিয়ম কানুন মেনে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়।
আই.ই.এল.টি.এস পরীক্ষায় ভাষার ব্যবহারের চারটি মাধ্যম রিডিং, লিসেনিং, রাইটিং এবং স্পিকিং নিয়ে চারটি সেকশন থাকে। এই চারটি সেকশনের আলাদা-আলাদা ফলাফল কে বলা হয় ওই সেকশনের ব্যান্ড স্কোর এবং চারটি সেকশনের ফলাফলের গড় কে বলা হয় অভারল ব্যান্ড স্কোর। সাধারণত ওভারঅল ব্যান্ড স্কোর ৬.৫ এবং প্রত্যেকটি সেকশনে অন্তত ৬ অথবা এর উপরে যদি ব্যান্ড স্কোর থাকে তাহলেই আপনি বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন।
IELTS কেন?
আপনি যদি নিজ দেশের বাইরে কোন ইংরেজি ভাষাভাষীর দেশে উচ্চশিক্ষা, চাকরি অথবা ইমিগ্রেন্ট হিসেবে যেতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই ইংরেজি জানা লাগবে। আর আপনি যে ইংরেজি জানেন অথবা ইংরেজিতে ইফেকটিভলি কমিউনিকেট করতে পারেন সেটা প্রমাণ করার জন্য আপনাকে এই পরীক্ষাটি দিতে হবে। কারণ: ইংরেজি ভাষাভাষীর দেশ যেমন: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা ইত্যাদিসহ আরও অনেক দেশের ইমিগ্রেশন কতৃপক্ষ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি এজেন্সিগুলো আই.ই.এল.টি.এস (IELTS) এর স্কোরকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। অথবা দেশে বিভিন্ন প্রাইভেট জবের ক্ষেত্রেও আপনার ইংরেজি বলার দক্ষতার সার্টিফিকেটটি আপনার CV (curriculum vitae) তে যোগ করে এগিয়ে থাকতে পারেন অন্য ক্যান্ডিডেটদের থেকে কয়েকধাপ।
IELTS কিভাবে?
এই পরীক্ষাটিতে অংশগ্রহনের জন্য কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। আপনি ১৬ বছর বা তার থেকে বেশি বয়সী হলেই এই পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবেন। এরপর ব্রিটিশ কাউন্সিলের অথবা আইডিপি এর কোন অফিস থেকে সরাসরি অথবা অনলাইনের মাধ্যমে প্রয়জনীয় কাগজ পত্র এবং টাকা পয়সা জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে পরীক্ষা দিয়ে দিবেন। তবে পরীক্ষা দেওয়ার আগে অবশ্যই কিছু প্রস্তুতি নিতে হবে আপনাকে। আর প্রস্তুতি শেষে কিছু কোন একটা কোচিং সেন্টারে কিছু প্র্যাক্টিস টেস্ট, অর্থাৎ মক টেস্ট দিয়ে নিবেন। আপনি যদি মক টেস্টগুলোতে আপনার আশানূরূপ ব্যান্ড স্কোর পেতে সক্ষম হন তাহলে যাবেন রিয়েল টেস্ট দিতে, এর আগে নয়। তা নাহলে আপনার টাকা এবং সময় দুটোই জলে যাবে। আমাদের ব্লগে IELTS এর সবগুলা সেকশনের প্রস্তুতির জন্য সঠিক গাইডলাইন পেয়ে যাবেন আর এই গাইডলাইনই আপনাকে আপনার কাঙ্খিত ফলাফল পেতে সাহায্য করবে।
IELTS পরীক্ষার সার্টিফিকেট এর মেয়াদ থাকে দুই বছর। এরপর সেই সার্টিফিকেটটি আপনি আর কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। আপনার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ২ বছর পর আবার পরীক্ষা দিতে পারবেন এবং নতুন সার্টিফিকেট নিতে পারবেন। আর আপনি চাইলে সার্টিফিকেট এর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেও আবার পরীক্ষা দিতে পারবেন এবং আপনার সেই সার্টিফিকেট এবং আগের সার্টিফিকেট দুইটিই একসাথে ব্যবহার করতে পারবেন মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত। (অবশ্যই যেটাতে আপনার রেজাল্ট ভালো সেটিই ব্যবহার করবেন। 😊)
IELTS রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিস্তারিত থাকছে এই আর্টিকেলটিতে:
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
If you have any doubts, Please let me know